8:36 am, Friday, 14 February 2025

চাঁদাবাজি বন্ধ হলে, এক শ্রেণির মানুষ আর রাজনীতি করবেনা

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:33:54 am, Saturday, 11 January 2025
  • 17 Time View

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন,এক শ্রেণির মানুষ আর রাজনীতি করবেনা, যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সবাই এত মতে হবে।  যেমন কোন সংসদকে যখন বলা হলো যে, অনির্বাচিত সরকার। তখন কিন্তু যে প্রতিবাদ করে নাই। কারণ বছর শেষে যখন থুক বরাদ্ধ দেওয়া হয় পাঁচকোটি টাকা। তখন কিন্তু সবাই চুপ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দল কিছু কিছু ব্যবসা কখনো ফরমালাইজ করে না। তারা এটাকে ইনফরমালাইজ করে রেখে দেয়। মহল্লায় ডিসের ব্যবসা, বর্জ্য কালেকশনের ব্যবসা, ফেরিওয়ালা, হতকার, ফুটপাতে দোকান বসানোর ব্যবসা। শুধু মালিকানা পরিবর্তন হয়।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমি লেবার পার্টির মেম্বার ছিলাম। সেখানে আমাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাক চাঁদা দিতে হতো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীদের কি কোন দলে জন্য চাঁদা আছে? নাই। কিন্তু কেন? তাহলে দল চলে কিভাবে? এত বড় বড় সমাবেশ হয়। টাকা কোথা থেকে আসে। মিছিলে লোক আসে। কেমনে আসে। মিছিলের লোকগুলো আসলে কি বুঝে আসছে? আমরা কি দলগুলো সংস্কারের চেষ্ট করছি।  আমরা কি আমাদের নিজেদের সংস্কারের চেষ্টা করছি।তিনি আরোও বলেন, যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক না কেন। তারা যদি চায় যে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনবে। মাসে নিদিষ্ট সংখ্যক টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাহলে দেখবেন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। আর চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে গেলে দেখবেন অনেকে রাজনীতি করা ছেড়ে দেবে। কাজেই দলের সংস্কার করা একটা অত্যাবশ্যকীয় ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Team

Popular Post

চাঁদাবাজি বন্ধ হলে, এক শ্রেণির মানুষ আর রাজনীতি করবেনা

Update Time : 06:33:54 am, Saturday, 11 January 2025

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন,এক শ্রেণির মানুষ আর রাজনীতি করবেনা, যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সবাই এত মতে হবে।  যেমন কোন সংসদকে যখন বলা হলো যে, অনির্বাচিত সরকার। তখন কিন্তু যে প্রতিবাদ করে নাই। কারণ বছর শেষে যখন থুক বরাদ্ধ দেওয়া হয় পাঁচকোটি টাকা। তখন কিন্তু সবাই চুপ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দল কিছু কিছু ব্যবসা কখনো ফরমালাইজ করে না। তারা এটাকে ইনফরমালাইজ করে রেখে দেয়। মহল্লায় ডিসের ব্যবসা, বর্জ্য কালেকশনের ব্যবসা, ফেরিওয়ালা, হতকার, ফুটপাতে দোকান বসানোর ব্যবসা। শুধু মালিকানা পরিবর্তন হয়।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমি লেবার পার্টির মেম্বার ছিলাম। সেখানে আমাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাক চাঁদা দিতে হতো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীদের কি কোন দলে জন্য চাঁদা আছে? নাই। কিন্তু কেন? তাহলে দল চলে কিভাবে? এত বড় বড় সমাবেশ হয়। টাকা কোথা থেকে আসে। মিছিলে লোক আসে। কেমনে আসে। মিছিলের লোকগুলো আসলে কি বুঝে আসছে? আমরা কি দলগুলো সংস্কারের চেষ্ট করছি।  আমরা কি আমাদের নিজেদের সংস্কারের চেষ্টা করছি।তিনি আরোও বলেন, যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক না কেন। তারা যদি চায় যে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনবে। মাসে নিদিষ্ট সংখ্যক টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাহলে দেখবেন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। আর চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে গেলে দেখবেন অনেকে রাজনীতি করা ছেড়ে দেবে। কাজেই দলের সংস্কার করা একটা অত্যাবশ্যকীয় ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।