ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF) এখন নদী সীমান্তে নতুন ভাসমান পোস্ট নির্মাণ করেছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সুন্দরবন অঞ্চলে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে। ভারত চিন্তা করছে যে, বাংলাদেশের নতুন সরকার সন্ত্রাসীদের অবৈধভাবে ভারতীয় উত্তর-পূর্বে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে পারে, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানও করেছিল।
উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ও তার সরকার ভারতের অবস্থান নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা করেছেন যে, বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে কিছু করবে না।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন সরকারের এক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশকে অধিগ্রহণের হুমকি দেওয়ার পর দেশটি তার সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ১৬ ডিসেম্বর তার ফেসবুক পোস্টে ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তারা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামে মুসলিম জনগণের ওপর অত্যাচার ও উপনিবেশিক মনোভাব পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সফল হতে হলে ভূখণ্ডের সম্প্রসারণ অপরিহার্য।” তিনি দাবি করেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারতের সংস্কৃতি ঢাকার সংস্কৃতির সঙ্গে অধিক মিল রয়েছে, দিল্লির হিন্দু প্রধান সংস্কৃতির তুলনায়।
ফেসবুক পোস্টটি দুই ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলা হলেও, এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে তারা এই মন্তব্য বাংলাদেশের কাছে উত্থাপন করেছে এবং এটি জনসমক্ষে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করেছে।
বাংলাদেশ কর্তৃক ভারতীয় অঞ্চল দখলের হুমকির পর ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।